শিলাজিত (shilajit)

550.001,600.00

বিশুদ্ধ, ন্যাচারাল, পরিচ্ছন্ন ও উন্নতমানের শিলাজিত। আমাদের কাছে লিকুইড এবং শক্ত দুইরকমই পাওয়া যাচ্ছে। আপনার যেটা প্রয়োজন নিশ্চিন্তে অর্ডার করতে পারেন।

Description

আমাদের কাছে সলিড এবং লিকুইড দুই ধরণের শিলাজিত আছে। সর্বনিম্ন ৫০ গ্রাম নিতে পারবেন। এটাকে ইন্ডিয়ান শিলাজিত বলা হলেও (বর্তমানে যেটা সেল করি) এটা পাকিস্তানি কোম্পানির। এটা মূলত ১ কেজি সাইজের পাত্রে আসে, সেই বড় প্যাক থেকে আমরা ৫০, ১০০ গ্রাম করে করে প্যাক করি।

আসল-নকলের ব্যাপারে জানতে চান অনেকে। আমাদের নিকট অরিজিনাল শিলাজিত ই পাবেন। আমরা জ্ঞাতসারে কখনওই মানহীন বা ভেজাল জিনিস বিক্রি করি না। আমরা যে সোর্স থেকে কালেক্ট করি তা রিলায়েবল এবং কাস্টমার ফিডব্যাকও ভালো। আমরা বিদেশি জার্নাল, ব্লগ ও রিসার্চ পেপার অধ্যয়ন করে শিলাজিতের যা বৈশিষ্ট পেয়েছি, সে অনুযায়ী বুঝতে পেরেছি – এটা ঊন্নতমানের ফিল্টারকৃত/রিফাইন্ড শিলাজিত। একদম র’ শিলাজিতে শুরুতে অনেক ময়লা থাকে, এটা হার্ভেস্টের পর রিফাইন করে এরপর প্যাক করা হয়েছে। সলিডটা একবার রিফাইন করা, আর লিকুইডটা দুইবার রিফাইন ও প্রসেস করা হয়। আমাদের জানামতে এখানে শিলাজিতের সাথে অন্য কিছু মেশানো হয়নি। বাকীটা আল্লাহ ভরসা।


শিলাজিত পরিচিতি :

শিলাজিৎ একটি খনিজ পদার্থ যা হিমালয় ও হিন্দুকুশ পর্বতমালায় প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এটি একটি বিরল প্রজাতির রজন যা তৈরি হয় হাজার বছর ধরে পচন ধরা গাছ ও উদ্ভিদের উপকরণ থেকে। এই আটকে থাকা উদ্ভিদ উপকরণ পাথরের ফাঁক থেকে বাদামী থেকে কালো রঙের চটচটে আঠার মত একটি পদার্থ হিসেবে বেরিয়ে আসে। এর স্বাদ হয় তিতকুটে, উৎকট, অদ্ভুত ধরণের।  তবে খুবই সামান্য পরিমাণে (এক-আধা গ্রাম) খাওয়া হয় দেখে তেমন একটা সমস্যা মনে হয় না।
ভারতীয় অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাব্যবস্থা আয়ুর্বেদে স্বাস্থ্যবর্ধক বৈশিষ্টের জন্য হাজারো বছর ধরে শিলাজিৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। আয়ুর্বেদে এর সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করার উপকারিতা উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটঃ অনুগ্রহ করে ইউটিউব বা ফেসবুকে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখেই আসল-নকল, ভালো-খারাপ নিয়ে তর্ক করবেন না। এইটা লো আইকিউ কাজকারবার। যদি ভালোভাবে জানার ইচ্ছা থাকে, বিভিন্ন সায়েন্টিফিক জার্নাল ও ভালো হেলথ ব্লগের আর্টিকেল আছে, গুগল-বিং সার্চ ইঞ্জিনে সেগুলো খুঁজে পড়বেন।

শিলাজিৎ সম্পর্কিত কিছু তথ্যঃ

  • প্রচলিত নামঃ খনিজ পিচ, খনিজ মোম, শিলাজিৎ, ইন্ডিয়ান শিলাজিত, পাকিস্তানি শিলাজিত।
  • লাতিন নামঃ Asphaltum punjabianum, সংস্কৃত নামঃ শিলাজিৎ, শিলাজিতা।
  • ভৌগলিক বন্টনঃ শীলাজিৎ সাধারণত হিমালয়ের নিকটবর্তি অঞ্চলে সহজলভ্য। যার মধ্যে হিমাচল, অরুণাচল, উত্তরাখণ্ড এবং কাশ্মীরে এটি বড় পরিমাণে মজুদ রয়েছে। পাকিস্তান, চীন, নেপাল, তিব্বত এবং আফগানিস্তানেও এটি পাওয়া যায়। (আমাদের শিলাজিতগুলো পাকিস্তানের ‘গিলগিট-বালতিস্তান’ অঞ্চলের।)

শিলাজিতের স্বাস্থ্য উপকারিতা

শিলাজিতের বেশ কিছু নিরাময়কারী উপকারিতা আছে তবে এটি বিশেষতঃ পরিচিত একটি স্বাস্থ্যবর্ধক টনিক হিসেবে। ভাল স্বাস্থ্য উন্নীত করার ক্ষেত্রে শিলাজিতের কিছু ব্যবহার সম্পর্কে একটু খতিয়ে দেখা যাক।

  • ওজন কমানোয় সহায়তাঃ ক্লিনিকাল গবেষণা ইঙ্গিত করে যে শিলাজিতে কিছু সক্রিয় মৌল রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • কোষ্ঠকাঠিণ্য কমায়ঃ শিলাজিৎ শরীরে টনিকের মত কাজ করে যার ফলে এটি অন্ত্রের পেশীগুলিকে শক্ত করে হজমে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে খাদ্য নিষ্কাশন করে কোষ্ঠকাঠিণ্য থেকে মুক্তি দেয়ে।
  • শুক্রাণুর গুন্তি বাড়ায়ঃ 1.5 মাস ধরে নিয়মিত শিলাজিৎ সেবন করলে তা বীজকোষ উদ্দীপক হরমোন বাড়িয়ে তোলে, যার ফলে দেখা গেছে এটি শুক্রাণুর গুন্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর।
  • পাহাড়ি অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেয়ঃ উচ্চতার কারণে হওয়া অসুস্থতার সার্বিক সমাধান হল শিলাজিৎ। এটি যে শুধুমাত্র চাপ ও উদ্বেগ থেকেই মুক্তি দেয় তা নয়, উচ্চতার কারণে হওয়া ফুসফুসের সমস্যা হাইপক্সিয়াও কমিয়ে দেয়।
  • রক্তস্বল্পতার চিকিৎসায়ঃ শিলাজিৎ হল আয়রনের একটি ভাল উৎস, যা হিমোগ্লোবিন ও রক্তের লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। টনিক হওয়ার কারণে এটি রক্তাল্পতাগ্রস্ত লোকজনদের মধ্যে দুর্বলতা ও ক্লান্তি কমায়।
  • অ্যালজাইমারবৃদ্ধি থামায়ঃ গবেষণায় প্রমাণিত তথ্য ইঙ্গিত করে যে শিলাজিতে থাকা ফাল্ভিক অ্যাসিড মস্তিষ্কে টাউ প্রোটিনের অতিরিক্ত পুঞ্জিভূত হওয়া রোধ করে, অন্যভাবে বললে “স্নায়ুক্ষয় ও অ্যালজাইমারস হওয়ার কারণ” প্রতিরোধ করে।
  • পাকস্থলিতে ঘা হওয়া আটকায়ঃ শিলাজিৎ গ্যাস্ট্রিক নিঃসরণ কমিয়ে পাকস্থলির আস্তরণকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আলসার হওয়া রোধ করে বলে শোনা যায়।

  • সাধারণত, কোনও বিশেষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া 300-500মিঃগ্রাঃ (অর্থাৎ ১গ্রামের এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক) শিলাজিৎ প্রতিদিন খাওয়া যায়।
  • আয়ুর্বেদিক ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন 1-3ফোঁটা তরল শিলাজিৎ পানি বা দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়ার জন্য। চাইলে সাথে কিছুটা মধুও মেশানো যায়।
  • অনেকে সকালে নাস্তার কিছুক্ষণ আগে হাফগ্রাম থেকে ১গ্রাম (½-1g) শিলাজিত পানিতে গুলিয়ে খেয়ে থাকেন। (তবে দৈনিক ১গ্রাম খেলে লাগাতার একমাসের বেশি খাওয়া উচিত না।)
  • শিলাজিতের সঠিক ডোজ এবং খাওয়ার মেয়াদ বয়স এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে থাকে। তাই আপনার জন্য শিলাজিতের সঠিক ডোজ নির্ধারণ করতে একজন ইউনানি/আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উত্তম।
Additional information
Weight N/A
ওয়ারহাউজ

রাজশাহী

পরিমাণ

১০০গ্রাম

,

৫০ গ্রাম

ধরণ

সলিড (আস্ত)

,

লিকুইড (তরল)