অশ্বগন্ধা (Ashwagandha) – ১০০গ্রাম

160.00

সুক্কার শপে পাচ্ছেন বিখ্যাত ভেষজ অশ্বগন্ধা পাউডার। বেশি পরিমাণে দরকার হলে অনুগ্রহ করে আমাদেরকে মেসেজে জানান।

মানসিক চাপ কমাতে অশ্বগন্ধার খ্যাতি থাকলেও এর বিভিন্ন কার্যকারিতা আছে। যেমন- বার্ধক্যজনিত প্রভাব, যৌনঅক্ষমতা ও প্রদাহ জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। দেখা গিয়েছে এটি মানসিক চাপ, অবসাদ এবং দুশ্চিন্তা কমায় ফলে ঘুম সংক্রান্ত  অনেক সমস্যা নিরাময় করে।
Description

মানসিক চাপ মুক্তির এজেন্ট-অশ্বগন্ধা

অশ্বগন্ধায় উপস্থিত থাকে অ্যালকালয়েড, স্ট্রেরয়ডাল ল্যাক্টনস, ট্যানিনস, স্যাপোনিনস এই সব উপাদান যা ক্যান্সার, স্ট্রেস, বার্ধক্যজনিত প্রভাব, যৌনক্ষমতা সংক্রান্ত ও প্রদাহ জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এছাড়া এতে উইথানন, উইথাফেরিন এ, ডি, ই , উইথাননোলাইড নামক বায়োঅ্যাক্টিভ পর্দাথ থাকে।
মানসিক চাপ কম করে বলে খ্যাতি থাকলেও অশ্বগন্ধার বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা আছে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় অশ্বগন্ধা একটি নামকরা অ্যাডাপ্টোজেন। দেখা গিয়েছেএটি মানসিক চাপঅবসাদ এবং দুশ্চিন্তা কমায় এবং মানসিক চাপ সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময় করে।
মহিলাদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা:

হরমোনের সমতা আনতে এবং এবং রজঃস্রাবের উপসর্গ যেমন দুশ্চিন্তা, খিটখিটে ভাব এবং মহিলাদের মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা খুবই কার্যকরী। শরীরে যত টক্সিন কম থাকবে তত শরীরের কার্যকলাপ ভাল হবে।

পুরুষদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা:

সমস্ত ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে অশ্বগন্ধা অন্যতম প্রধান যা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।নিয়মিত অশ্বগন্ধা সেবনে পুরুষদের মধ্যে শুধু যৌন ইচ্ছা বাড়ায় না, শুক্রাণু সংখ্যা এবং টেস্টোটেরনের হার বৃদ্ধিতে এটি কার্যকরী হয়। এটি শক্তি এবং পৌরুষত্ব বৃদ্ধি করে বলে যৌনক্রিয়ার উন্নতি হয়।

উপকারিতাঃ

  • আর্থারাইটিসের উপসর্গ কম করে
  • ইমিউনোস্টিমুলেটর সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধী শক্তি বাড়িয়ে তোলে
  • ক্ষত নিরাময়ে অনুঘটক
  • নিদ্রাগাঢ় করে
  • অশ্বগন্ধা পুরুষ এবং নারীদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • হৃদযন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে
  • অশ্বগন্ধায় উপস্থিত অ্যানজাইলটিক উপাদান থাকে যা মানসিক চাপকে কমিয়ে ফেলতে উপযোগী
  • থাইরক্সিন হরমোনের পরিমান বাড়ায় এই অশ্বগন্ধা
  • অশ্বগন্ধা পেশী মজবুত করতে উপযোগী যে তা প্রমাণিত
  • অশ্বগন্ধায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকার জন্য এটি নানা ধরণের ইনফেকশন থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
  • অশ্বগন্ধা একটি অ্যাড্যাপটোজেন হওয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সক্ষম।
  • অশ্বগন্ধা শরীরে টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের পরিমান বাড়াতে পারে

অশ্বগন্ধার আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ব্যবহার

মানসিক চাপ কম করে বলে খ্যাতি থাকলেও অশ্বগন্ধার বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা আছে। স্বাস্থ্যোন্নয়নে এই ভেষজ উদ্ভিদ কী কাজ করে একবার দেখে নেওয়া যাক।

  • মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: অশ্বগন্ধা একটি নামকরা অ্যাডাপ্টোজেন। দেখা গিয়েছে, এটি মানসিক চাপ, অবসাদ এবং দুশ্চিন্তা কমায় এবং মানসিক চাপ সংক্রান্ত সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বিটিস প্রতিরোধ করে।
  • ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণ করে: গবেষণাপত্রে প্রকাশ পেয়েছে, অশ্বগন্ধা উন্নতমানের ডায়বিটিস প্রতিরোধী (অ্যান্টিডায়বিটিস)।এটি স্বাস্থ্যবান এবং ডায়বিটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • আর্থারাইটিসের উপসর্গ কম করে: কার্যকর প্রদাহবিরোধী হওয়ায় অশ্বগন্ধা আর্থারাইটিসের ব্যাথা এবং ফোলা কমায়। পিত্ত, আয়ুর্বেবেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে যাকে আর্থারাইটিসের কারণ বলে ধরা হয়, তার সমতা নিয়ে আসে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: গবেষণায় প্রকাশিত যে অশ্বগন্ধা হচ্ছে অসাধারণ ইমিউনোস্টিমুলেটর (রোগ প্রতিরোধী)। সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধী শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
  • ক্ষত নিরাময়ে অনুঘটক: ক্ষত নিরাময় দ্রুত হওয়ার জন্য প্রাথমিক স্তরে অশ্বগন্ধা খাওয়ানোর সুপারিশ করা হয়। তবে এই গুণের নিশ্চিত প্রমাণের জন্য আরও মানুষের ওপর প্রয়োগের সমীক্ষার প্রয়োজন আছে।
  • নিদ্রা গাঢ় করে: চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে অশ্বগন্ধা মাথা ঠান্ডা করতে সাহায্য করে বলে ঘুম খুব ভাল হয়।
  • যৌনক্ষমতা বাড়ায়: অশ্বগন্ধা পুরুষ এবং নারীদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মানসিক সমস্যার দরুণ পুরুষদের লিঙ্গ উচ্ছৃত হওয়ার সমস্যা দূর করতে এবং শুক্রাণু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • থাইরয়েড প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে: দেখা গিয়েছে অশ্বগন্ধা শরীরে T4 মাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং হাইপোথাইরয়েডিজম কমাতে সাহায্য করে। তবে, মানব শরীরে ব্যবহার নিরাপদ কিনা তা জানতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
  • হৃদযন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: অশ্বগন্ধা হৃদয়ের পেশি শক্তিশালী করে হৃদযন্ত্রের সামগ্রিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যার ফলে রক্ত জমাট হয় না এবং হৃদয় ( হার্ট) এর ওপর চাপ কমে। হৃদরোগের অন্যতম ঝুঁকি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
  • মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে: সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অশ্বগন্ধা পার্কিনসন ও অ্যালজাইমারের দরুণ স্নায়বিক ক্ষতির হার কমিয়ে দেয়। তবে এর কার্যকারণ এখনও জানা যায়নি।
  • অ্যাড্রিনাল ফেটিগ প্রতিরোধ করে: এটি যেহেতু একটি অ্যাডাপ্টোজেনিক ভেষজ, অশ্বগন্ধা মন শান্ত করে, যা আবার শরীরে কর্টিসল মাত্রা (স্ট্রেস হরমোন) কমায়। সেটি আবার বৃক্কের ওপর চাপ কমায় বলে অ্যাড্রিনাল ফেটিগ (অড্রিনাল ক্ষরণজনিত ক্লান্তি) হ্রাস পায়।
  • সাপের বিষনাশক (অ্যান্টিভেনম) হিসাবে কার্যকলাপ: সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে, সাপের কামড়ের জায়গায় অশ্বগন্ধার প্রলেপ সাপের বিষ প্রশমিত হয় এবং শরীরের অন্যত্র তা ছড়ায় না। স্বাভাবিকভাবে এটি চিরাচরিতভাবে সাপের বিষনাশক হিসাবে প্রচলিত।
  • ত্বকের জন্য উপকারী: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ার দরুণ অশ্বগন্ধা একটি প্রকৃত বার্ধক্য প্রতিরোধী ভেষজ। বয়ঃবৃদ্ধির প্রাথমিক উপসর্গ রোধ করে এবং শুষ্ক ত্বক এবং কেরাটোসিস-এর বিরুদ্ধে শরীর রক্ষা করে।
  • চমৎকার কেশ টনিক: অশ্বগন্ধা চুলে পুষ্টি জোগায়, যা চুল পড়া কমতে সাহায্য করে এবং চুল দীর্ঘ এবং উজ্জ্বল করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে অকালে চুলে পাক ধরা এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।
  • রজঃস্রাবের উপসর্গ হ্রাস করে: টনিক এবং অশ্বগন্ধার মানসিক চাপ প্রতিরোধী ক্ষমতা এটিকে মহিলাদের ঋতুচক্র চলাকালীন সময় চমৎকার কাজ দেয়। এটি চাপ, দুশ্চিন্তা কমায়, হরমোন নির্যাসে সমতা নিয়ে আসে, রজঃস্রাবের উপসর্গ হ্রাস করে।
  • পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অশ্বগন্ধা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শুধুমাত্র শুক্রাণু সংখ্যা এবং টেস্টোস্টেরোন বৃদ্ধি করে না, এটি যৌনক্ষমতা এবং ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।       

সতর্কতাঃ

  1. ঘুমের ওষুধের সঙ্গে এটি গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ তাতে অতিরিক্ত ঘুম হবে।
  2. গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার নিরাপদ নয়।
  3. যিনি রক্তে শর্করা কমানোর ওষুধ নিয়ে থাকেন তিনি অশ্বগন্ধা ব্যবহার করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি নেমে যেতে পারে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া)।

সেবন মাত্রাঃ

  1.  ৩ গ্রাম হতে ৬ গ্রাম ( তথ্য সূত্রঃ রোগ ও উদ্ভিদতত্ত্ব ( ১-৩ খন্ড), লেখকঃ হাকীম এম এ কালাম পাটোয়ারী, প্রকাশকঃ ক্যামরুজ  পাবলিকেশন্স, সংস্করনঃ এপ্রিল -২০০৩, পৃষ্ঠাঃ ১২১ )
  2.  নির্দেশিত না হলে দৈনিক ৬-১২ গ্রাম পর্যন্ত বিভক্ত মাত্রায় সেব্য।  ( তথ্য সূত্রঃ ১) বাংলাদেশ জাতীয় আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারী , ২য় সংস্করনঃ জুন ২০১১ , প্রকাশকঃ   বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন , পৃষ্ঠাঃ ৬৯৫,  ২) বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ফর্মুলারী, ২য় সংস্করনঃ জুন ২০১১, প্রকাশকঃ   বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন, পৃষ্ঠাঃ   ৬৬৫ )
  3.  ৩-৪ গ্রাম গরম দুধ অথবা মধু অথবা চিনি ও ঘি সহ সেব্য ( তথ্য সূত্রঃ প্রাথমিক চিকিৎসায় ভেষজ, লেখকঃ ডাঃ আলমগীর মতি, প্রকাশকঃ মডার্ণ প্রকাশনী, ৩য় প্রকাশ আগস্ট ২০১৫ , পৃষ্ঠাঃ ২৯ )
  4.  ৩ থেকে ৫ গ্রাম, এমনকি ১৫ গ্রাম পর্যন্ত সেব্য । ( তথ্য সূত্রঃ ইউনানী মেটিরিয়া মেডিকা, লেখকঃ প্রিন্সিপ্যাল আবদুর রব খান, প্রকাশকঃ বিসিরাম প্রকাশনী, ৩য় প্রকাশঃ ৫ইং ডিসেম্বর ২০০৩ইং, পৃষ্ঠাঃ ১০০)

খাওয়ার সাধারণ নিয়মঃ

এখানে সাধারণভাবে একটি ডোজের নিয়ম জানানো হচ্ছে। তবে, আপনাকে গুরুত্ব দিয়ে বলা হচ্ছে, আপনার আয়ুর্বেদ চিকিৎসক আপনাকে যে ডোজ দেবেন সেটিই অনুসরণ করবেন।

  • সাধারণ ডোজ হল, এক কাপ চা, দুধ (মধুর সঙ্গে) 1-2 চা চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার মিশ্রিত করে খাওয়া দিনে দু’বার।
  • অথবা দিনে দু’বার 1-2 টি ক্যাপসুল খাওয়া।
  • অশ্বগন্ধার মূল, দুধ, মধু এবং বাদামের মিশ্রণ ঘুমের টনিক হিসাবে বাবহার করা যেতে পারে। এতে চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমে।
  • অশ্বগন্ধা পাতার একটি পেস্ট বা মলমের প্রলেপ ক্ষত বা প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
  • যখন মধুর সঙ্গে মিশ্রিত করে ব্যবহার করা হয়, তখন যৌনস্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী হয়।
  • অশ্বগন্ধার নির্যাসের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে টিংচার প্রস্তুত করা হয়। তবে মুসলিমদের জন্য অ্যালকোহল যেহেতু সাধারণভাবে নিষিদ্ধ, তাই এই টিংচার গ্রহণের পূর্বে একজন বিজ্ঞ আলেম এবং একজন বিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।

[প্রবন্ধ কৃতজ্ঞতাঃ Dr. Laxmidutta Shukla, MyUpchar ।।  Mahadi Hasan @ ডায়েট ফালসাফা]

Additional information
Weight 0.1 kg
ওয়ারহাউজ

রাজশাহী

পরিমাণ

১৫০গ্রাম