গুড়ের দানা একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস। শীত যত বাড়ে, গুড় যত ভালো হয়, গুড়ে তত সহজে দানা পড়ে। কড়া শীতে পাটালি, ঝোলা সব গুড় মুখে দিলেই কচকচে দানার স্বাদ পাওয়া যায়। সেদিন এক মুরব্বি আফসোস করে বলছিল, এখন আর আগের মত গোটা গোটা দানা পাইনা, চিনি দিয়ে নষ্ট করে ফেলে!!
ছবিতে চামচের মধ্যে চিনির মত যেসব দানা দেখা যাচ্ছে, এগুলো গুড়েরই দানা।
ব্যাকগ্রাউন্ডে ঝোলা গুড়ের পাতিলের অর্ধেকের বেশি গুড়ই জমে দানা হয়ে গেছে। যদি এটার সাথে আবার গুড় মিশিয়ে জাল না দেই, কয়েকদিন পর মিছরির মত দলা দলা হয়ে এমন শক্ত হবে, দাত দিয়ে কামড়েও ভাঙা মুশকিল হবে।
অনেকে ঝোলা গুড়ের মাঝে দানা দেখে মনে করে চিনি। কিন্তু আসলেই যদি চিনি দেয়া হয়, তাহলে সেটা মিশে যাবে, স্বাভাবিকভাবে বোঝা সম্ভব না। আর যারা ভেজাল দেয়, তারাও সাধারণত ঝোলা গুড়ে চিনি দেয় না। ঝোলাগুড় বৃদ্ধির জন্য দেয় দিনের বেলায় জমানো রস। দিনের রস দিলে পরিমাণ বাড়ে, কিন্তু স্বাদ, গন্ধ, কোয়ালিটি ফল করে।
আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
———-
-ঃ আচ্ছা গুড়ের দানা বুঝলাম, ঝোলাগুড় আর থানগুড় তো চিনিই, দানাগুড়টা কী?
— সুক্কার শপের দানাগুড় আজব এক খাদ্যদ্রব্য। যা দুনিয়ার খুব বেশি স্থানে উৎপাদন হয়না।
আসলে এটা পাটালি ও ঝোলাগুড়ের মাঝামাঝি অবস্থার গুড়। রুটি-পাউরুটি দিয়ে খাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী। সেমি লিকুইড হয়তো বলা যায়, কিন্তু নাহ! নামের মধ্যে লিকুইড থাকলে পুরাপুরি হক আদায় হয়না। এটা অন্যরকম জিনিস। ভিডিওটা একটু ফুল স্ক্রিনে দেখেন।
অনেকে ভাবেন ঝোলাগুড়ের নিচেও তো দানা জমে, তাহলে আলাদাভাবে এটার মাহাত্ম্য কী?
উত্তর হল, ঝোলাগুড় ঘন হলে নিচে অল্পস্বল্প দানা জমে, আর সেটা দ্রুত খেয়ে ফেলতে হয়। নইলে কয়েকদিন পর চিনির মিছরির চেয়েও শক্ত হয়ে যায়। ভাঙাই কষ্টকর ব্যাপার হয়।
অপরদিকে দানাগুড় পুরাটাই দানা, কয়েকদিন থাকলে ওপরে সামান্য ঝোলাগুড় উঠতে পারে। সেটা চামচ দিয়ে নেড়ে মিশিয়েও ফেলতে পারেন, আবার এমনিও খেতে পারেন। আর এটা সাধারণত ওইরকম শক্ত দলা হয় না।
….
দানাগুড় বানানো বেশ কষ্টকর। কম-বেশ হলে ওইদিনের গুড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ওজন্য এটা বানানো হয় কম, আর দাম সামান্য বেশি।
তবে কেউ একবার খেলে আশা করি সহজে ভুলতে পারবেন না।
…
সেরা গুড় কিনতে সুক্কার শপে যোগাযোগ করুন